, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


সিরাজগঞ্জের কৃষকেরা বোরো বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত

  • আপলোড সময় : ১৯-১২-২০২৩ ০৪:২০:৪৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-১২-২০২৩ ০৪:২০:৪৮ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জের কৃষকেরা বোরো বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত
আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় আমন ধান কাটাই-মাড়াই শেষ হতেই শীত আর হালকা কুয়াশা উপেক্ষা করে বোরো চাষাবাদের প্রস্তুতি হিসেবে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার চার ইউনিয়নে ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ৩৪০হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ( ১৯ ডিসেম্বর) ভোরে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান কাটাই-মাড়াই শেষ করেই স্থানীয় কৃষকরা কোমর বেধে নেমে পড়েছেন ইরি-বোরো চাষের দিকে। তারা ইরি-বোরো চাষের প্রথম পর্যায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বীজতলা তৈরি নিয়ে। তবে ইরি-বোরো চাষের জমিতে কেউ কেউ সরিষা চাষ করছেন। বীজতলা তৈরি শেষ হওয়ার পরপরই সরিষা উঠে আসবে। তখন একই জমিতে ইরি-বোরো বীজ রোপণ করবেন চাষিরা।

উপজেলার কর্ণসুতি গ্রামের মেনহাজ মন্ডল এবং জামাল মন্ডল দুই ভাই বলেন, আমন ধান কাটার পরে অল্প কিছুদিন সময় পাওয়া যায় ইরি-বোরো ধান রোপন করার। এর মধ্যে সরিষা রোপন করে বোনাস ফসল পেয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। তারপরেই বোরো ধান লাগানো শুরু করে দেবো।

উপজেলার জামতৈল গ্রামের বোরো চাষি কাবলু প্রামানিক এবং কালাম প্রামানিক বলেন, আমন ধান কাটাই-মাড়াই শেষ করেই ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছি । আমাদের জমি অনুযায়ী বীজতলা তৈরি করে এখন পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছি । বেশকিছু জমিতে সরিষা চাষ করেছি এজন্য হয়তো বোরো চাষ একটু পিছিয়ে যেতে পারে। তবুও মাঝখানে বোনাস একটা ফসল ঘরে তুলতে পারলাম। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলার চারা গাছ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই সবুজে ভরে উঠবে বীজতলা মাঠ ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মণ বলেন, চলতি ইরি-বোরো চাষ মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি এলাকায় বীজতলা তৈরি এবং বোরো আবাদের জমি তৈরি কাজ চলছে। বীজতলার বীজের চারাগাছ যাতে সুস্থ ও সবলসহ ভালো হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শসহ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষভাবে এ বিষয়ে কাজ করছেন।